বরগুনার রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন (নয়ন বন্ড) পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এসময় পুলিশ ও নয়ন বাহিনীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের চার সদস্য আহত হন।
আহতরা হচ্ছেন, সহকারি পুলিশ সুপার বরগুনা সদর সার্কেল মো: শাহ্জাহান, বরগুনা সদর থানার সাব ইন্সপেক্টর মো: হাবিবুর রহমান, ডিবির সাব ইন্সপেক্টর মুনিরুজ্জামান ও পুলিশ কনস্টেবল হাবিবুর রহমান। এর মধ্যে সহকারি পুলিশ সুপার মো: শাহ্জাহান ও সাব ইনেসপেক্টর হাবিবুর রহমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন।
মঙ্গলবার ভোররাত সোয়া চারটার দিকে বরগুনার বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট বাঁধ এলাকায় এ বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নয়নের উপস্থিতি টের পেয়ে বরগুনার বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা ফেরিঘাট নামক এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলে রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড নিহত হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল ও রিফাত হত্যায় ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুরাঘাটা এলাকায় পুলিশ অভিযান চালালে মজিদ মিয়ার বাড়ি নামক স্থান থেকে নয়ন বন্ড ও তার সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায়। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে ঘটনা স্থলে নয়ন বন্ড নিহত হয়। তার সঙ্গে থাকা অন্য সঙ্গীরা ঘটনাস্থল থেকে পিছু হটে পালিয়ে যায়। তাদেরকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড হত্যার ঘটনায় শুকরিয়া আদায় করে রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বলেন, আইন শৃংঙ্খলা বাহিনী ও মিডিয়া তৎপরতার কারণেই নয়ন বন্ড পালাতে পারেনি।